৯/১/২০২১- আন-নূরের ইতিহাস

Categories

অবাক করার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে এ কয়দিন। আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না কি হচ্ছে আসলে। গত ৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে একটা ফোন কল এলো আমার এক পরিচিত নেভী অফিসার ফারুকের কাছ থেকে। ছেলেটাকে আমি চিনতাম প্রায় বছর দুয়েক আগে কোনো একটা ব্যবসায়ীক আলাপের মাধ্যমে। সে এসেছিলো আমার কাছে ম্যাগপাই নামে কোনো একটা কোম্পানীর জন্য পলাশপুরে আমার মা ইন্ডাস্ট্রিজের খালী স্পেসটা ভাড়া নেয়ার জন্য। সম্ভবত মোট দুদিন দেখা হয়েছিলো। এরপরে আর কখনোই দেখা হয় নাই। পরে শুনেছিলাম যে, ফারুক আর ওই ম্যাগপাই কোম্পানীতে নাই, সে তার শেয়ার বা মালিকানা ব্যাক করে নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।

এর মধ্যে ওর সাথে আর আমার কোনো কথাবার্তা হয় নাই, না দেখা হয়েছে। খুব একটা ভালো মতো ওকে চিনি বলেও মনে হয় না কিন্তু যেটা বুঝেছিলাম সেটা হলো যে, ছেলেটার মধ্যে একটা জিদ আছে। এর মধ্যে আমিও ওকে ভুলে গিয়েছিলাম, আর ফারুক নিজে থেকেও আর কখনো যোগাযোগ করে নাই। ফারুকের সাথে সেদিন আরেক ভদ্রলোক এসেছিলেন মিষ্টার কাম্রুজ্জামান, তার সাথে আমার এখনো যোগাযোগ আছে কারন ম্যাগপাই কোম্পানীটা এখন তিনিই চালাচ্ছেন আর সেটা আমার পরিত্যাক্ত মা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কমপ্লেক্সেই। অনেকবার আমি নিজে থেকেই ফারুকের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলাম, কিন্তু খুব বেশী একটা তথ্য কাম্রুজ্জামান সাহেব হয় দিতে চান নাই অথবা যে কোনো কারনেই হোক ফারুক সম্পর্কে তিনি খুব একটা আগ্রহ দেখান নাই।

যাই হোক, অবশেষে, অনেকদিন পর সেদিন ৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে হটাত করে ফারুক আমাকে ফোন করেছিলো। ওর ফোন নাম্বারটা আমার কাছে সেভ করা ছিলো, তাই বুঝতে অসুবিধা হয় নাই ফারুকের কল। সাধারনত, আমাকে যারা ফোন দেয়, হয় তারা কোন কাজ চায় অথবা কোনো ধরনের সাহাজ্য বা বুদ্ধিই চায়। অনেক সময় আমি ফোন ধরি, অনেক সময় ফোন ধরিও না। ঠিক একইভাবে সেদিন ৯ ডিসেম্বরে ফারুক যখন সকাল ১১ টার দিকেব আমাকে ফোন করলো, আমি প্রথমে ভাবলাম, হয়তো কোনো সাহাজ্যের জন্যই ফোন করেছে। দিনটায় খুব ব্যস্ত ছিলাম, ভাবলাম, ব্যস্ততা শেষ হলে ফোন ব্যাক করবো। তাই ততক্ষনাত আর ফোনটা ধরতে চাই নাই।

দুপুর পার হয়ে গেলো। আমি একটু ফ্রি হলাম। মোবাইলটা হাতে নিতেই ফারুকের মিস কলটা চোখে পড়লো। একবার ভাবলাম, ওকে একবার ফোন ব্যাক করি। এমনো তো হতে পারে যে, ওর কোনো বিপদ যেখানে হয়তো আমার সাহাজ্য আসলেই দরকার, আবার এমনো তো হতে পারে সে আমাকে এম্নিতেই কেমন আছি জানার জন্য ফোন করেছে কুশল বিনিময় করার জন্য। আবার এমন তো হতে পারে যে, এই ফোন কলটা আমার জন্যই জরুরী!

ফোন দিলাম, ফোনে শুধু ফারুক আমাকে বল্লো যে, স্যার আমার কিছু আত্তীয় আমার বাসায় এসেছে। বাচ্চা মানুষ, কিন্তু বিশাল একটা কাজ হাতে নিয়ে ফেলেছে চায়নীজদের কাছ থেকে, কন্সট্রাকশন রিলেটেড। জিজ্ঞাসা করতে করতে জানলাম যে, যে কোনোভাবেই হোক, ওরা চাইনীজ কোম্পানী “চাইনীজ কন্সট্রাকশন সেভেন্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন কর্পোরেশন লিমিটেড” থেকে বড়সড় একটা ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছে বালু আর ইট সাপ্লাইয়ের কাজে। কিন্তু ওদের টাকা নাই তাই কাজটা করতে পারছে না। ওয়ার্ক অর্ডারের ভ্যালু প্রায় হাজার কোটি টাকার উপরে।

ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত লেগেছে আমার কাছে। আর অদ্ভুত লাগার অনেকগুলি কারনও আছে। বহুদিন যাবত আমি আর মূর্তজা ভাই এই কন্সট্রাকশন লাইনে কিভাবে ঢোকা যায় সেটার একটা হোমওয়ার্ক করছিলাম। মীর আখতার হোসেন গ্রুপের কর্নধার জনাব মীর নাসিরব আমার আত্তীয়। তার কোম্পানীর মাধ্যমে আমি আর মূর্তজা ভাই কয়েকবার কয়েকটা বড় কাজের সন্ধানেও বেরিয়েছিলাম কিন্তু খুব একটা কাজ হয় নাই। কিন্তু এটা বুঝতেছিলাম যে, সারা ওয়ার্ল্ডে এই কন্সট্রাকশন কাজই একমাত্র ব্যবসা যারা উচু কোনো স্তরে পৌঁছে যেতে পেরেছে। কিন্তু এর জন্য সর্বোচ্চ মহলের অনেক প্রকার আশীর্বাদ যেমন লাগে তেমনি লাগে স্পীড মানির ক্ষমতাও। আমাদের দুটুরই কিছু কিছু সুবিধা ছিলো বটে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই কেনো জানি ব্যাপারটা ব্যাটে-বলে সংযোগ হচ্ছিলো না। অনেকবার আমরা আমরাই বেশ কিছু হোম ওয়ার্ক করেছিলাম কিন্তু ব্যাপারটা হোম ওয়ার্কের পর্যায়েই ছিলো। কিন্তু বাংলাদেশের বুরুক্রেটিক সিস্টেমের জন্য আমরা কিছুতেই বুঝতেছিলাম না কিভাবে বড় বড় কন্ট্রাক্ট গুলি ধরা যায়।

ফারুকের ফোনের বিষয়টা মুর্তজা ভাইকে বলার সাথে সাথে ব্যাপারটা বিদ্যুত গতিতে যেনো এগিয়ে যেতে থাকলো। আমার পরিকল্পনা ছিলো, ফারুকের কাছ থেকে ওর আত্তীয়ের কাজের বিষয়টা এর পরেরদিন আমরা দুজনে বসে জেনে নেবো কিন্তু মূর্তজা ভাই যেনো আমার থেকেও বেশী স্পীডি। মূর্তজা ভাইয়ের অনুরোধে আমরা সেদিন রাতেই ফারুক এবং ওর টিমের সাথে মিটিং করলাম মীরপুর ক্যান্টন মেন্টের সিএসডির অভ্যন্তরে। রাত তখন প্রায় ১০টা। । ফারুক নিজে এবং তার দুই আত্তীয় আরিফুজ্জামান রুবেল আর দুলাল মোল্লা নামের দুই জনকেই সেখানে নিয়ে এলো। আরিফ আর দুলালকে দেখে আমার খুব অদ্ভুত লেগেছিলো যে, ওদের বয়স নিতান্তই কম এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা ওই রকমের না যার মাধ্যমে এমন সব কাজ হাতে আসবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো ওরা সেই কাজটাই করতে পেরেছে যেটা আমরাও পারি নাই। আমি আর মূর্তজা ভাই ওদের কাছে থাকা চায়নীজদের ওয়ার্ক অর্ডারটা নেড়েচেড়ে দেখলাম, পড়লাম, সবই ঠিক মনে হচ্ছিলো। আবার পরক্ষনেই এটাও উড়িয়ে দিচ্ছিলাম না যে, এটা আবার কোনো ফাদ না হয়ে উঠে। ফারুকের উপর আমার কোনো নেগেটিভ ধারনা ছিলো না। ফলে আমি ফারুককে সরাসরি একটা প্রশ্ন করলাম, কেনো ফারুক এই কাজের সাহাজ্যের জন্য আমাকে সে ফোন করলো বা বেছে নিলো। সেতো ইচ্ছে করলে আরো কাউকে বেছে নিতে পারতো। এই কাজ গুলি করার জন্য হয়তো আরো অনেকেই রাজী হবে এবং হতো। ফারুক সেতা না করে, সে আমাকেই কেনো ফোন করলো?

ফারুক জানালো যে, ফারুক নিজেও কোনো কন্সট্রাকশনের কাজে জড়িত নয়। কিন্তু রুবেল এবং দুলাল তারা ওর শশুড় বাড়ির তরফ থেকে আত্তীয়। ওরাই মাঝে মাঝে জীবন ধারনের জন্য ছোট খাটো ঠিকাদারী, কখনো আবার কোনো সাইটে আবার কখনো কোনো বড় কোম্পানীর জন্য টুক টাক সাপ্লাইয়ের কাজ করে থাকে। এসব করতে গিয়ে যেভাবেই হোক, কিছু কিছু মানুষের সাথে ওদের উঠাবসা আছে। আর এই সুবাদে ওরাও চেষ্টা করেছে তারা নিজেরাই কোনো একটা কাজ বাগিয়ে নিতে পারে কিনা।

বাংলাদেশটা এমন এক দেশ যেখানে পয়সার মান সাদাই হোক আর কালোই হোক, বেশীরভাগ মানুষ আজকাল শুধু টাকার পিছনেই ঘুরে। যখন টাকার গন্ধ চারিদিকে মুর মুর করতে থাকে, তখন কে সচীব আর কে মন্ত্রী এর কোনো লেবেল থাকে না। তাদের সবার উদ্দেশ্য একটাই-টাকাটা ধরা। আর এই ধরাকে বলে কালো টাকার বেসাতী। আমরা আজ অবধি কালো টাকার ধারে কাছেও যেতে চাই নাই আর যেতে চাইও না। তাই হয়তো এই গোপন ব্যাপারটা আমাদের ক্ষমতায় ছিলো না। আর যেহেতু আমাদের যপগ্যতা থাকা সত্তেও আমরা কালো টাকার ধারে কাছে যাই না, ফলে এই দেশের বৃহৎ কোনো প্রোজেক্ট আমাদের হাতে আসেও না। যাইই হোক, আমি ফারুকের সাথে বিস্তারীত কথা বলে জানলাম যে, ফারুকের অন্যত্র যাওয়ার ক্ষমতা বা ইচ্ছা থাকলেও সে চেয়েছিলো এমন একজন মানুষ যারা মিথ্যার বেসাতী করেন না আবার ইন সাফের মুল মন্ত্র নিয়ে কাজ করেন। ফারুকের মনে হয়েছে, আমিই সেই ব্যক্তি যার কাছে পুরু ব্যাপারটা শেয়ার করা যায়। আমি একটা কথা প্রায়ই বলে থাকি-I feel safe in the hands of a pious and justified man. চোর ও কিন্তু চোরকে বিশ্বাস করে না, চোর ও কিন্তু চোরকে পছন্দ করে না। চোর নিজেও চায় একজন ভালো মানুষের সাথে কাজ করুক, সম্পর্ক করুক ইত্যাদি। ফারুক চোর নয়, রুবেল কিংবা দুলাল তারাও চোর নয়, কিন্তু আমাদের আশেপাশে এতো বেশী মুখোশ ধারী চোর রয়েছে যে, তাদের বাজ্যিক চেহাড়া দেখে বুঝবার কোনো উপায় নাই, তারা ইন সাফ করে কিনা। কিন্তু মুখে সারাক্ষন হাদিস কালামের কথা উচ্চারিত হতেই থাকে। কিন্তু এই হাদিস শুনে ভরষা করার কোনো সুযোগ নাই। ঠকবার সম্ভাবনাই বেশী। ফারুকের মনে হয়েছে, আমরা সেই ক্যাটেগরির মানুষ যারা ইন সাফ নিয়ে চলেন, কাউকে ঠকাবার কোনো মানসিকতা কখনোই নাই।

প্রাথমিকভাবে আমি আর মূর্তজা ভাই ওদের কাছ থেকে ইনিশিয়াল তথ্য জেনে বেরিয়ে এলাম। আর বললাম যে, যদি সব কিছু সথিক থাকে, তাহলে হয়তো আমরা ওদেরকে নিয়ে কাজ করবো। ওদের টাকা নাই, কিন্তু আমাদের যা আছে তা দিয়ে তাদের পাওয়া ওয়ার্ক অর্ডারের কাজ করা সম্ভব। হয়তো ৩/৪ কোটী টাকার দরকার। আর সেটা আমাদের আছে। কিন্তু কিভাবে করবো, কাজের ধারা কি হবে, কে কিভাবে পার্টনারশীপ করবে তার একটা বিস্তারীত প্রোফেশনাল গাইড লাইন থাকা দরকার।

ওই যে বলেছিলাম একটু আগে যে, বহু আগে থেকেই কন্সট্রা ক শন কাজের ব্যাপারে আমাদের একটা সুপ্ত বাসনা ছিলো, আর সে মোতাবেক একটা হোম ওয়ার্ক করাই ছিলো। এখন ব্যাপারটা যদি সত্যি হয়, তাহলে সিদ্ধান্তটা নিতে খুব বেশী একটা সময় ক্ষেপন হবে না বলে আমাদের বিশ্বাস ছিলো। বাসায় এসে আমি আর মুর্তজা ভাই ফোনে আলাপ করলাম যে, এর পরেরদিন অর্থাৎ ১০ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে  ফারুক এবং তার টিমের সাথে আমাদের বিস্তারীত আলাপের দরকার। পরেরদিন আমাদের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী হাসনাবাদে একটা সম্মিলিত মিটিং এর দিন ধার্য্য করা হলো।

পরদিন ১০ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে ফারুক, রুবেল আর আমি (মাঝে মাঝে মুর্তজা ভাই) এক সাথে বিস্তারীত আলাপ করে জানলাম যে, বড় বড় টেন্দার গুলির মধ্যে সরকারী অফিসের ছোট ছোট কর্ম কর্তাদের মাধ্যমে বড় বড় কর্মকর্তারা একটা সিশটেম করে রেখেছে এমনভাবে যে, বড় বড় নামীদামী কোম্পানিগুলিকে তারা এখন আর পারসেন্টেজে বিশ্বাস করতে পারছে না। প্রায়ই তারা তাদের ন্যয্য কালো টাকার ভাগে কম পড়ছে। আর যেহেতু ব্যাপারটা কালো টাকার খেলা, ফলে সেসব কর্মকর্তারা এমন একটা নতুন পলিসি উদ্ভাবন করেছেন যেখানে তাদের ভাগ নিশ্চিত হয় আবার কাজটাও হয়। এতে প্রোজেক্ট ভ্যালু বেড়ে যায়, তাতে কিছুই যায় আসে না। টাকা তো আসবে গৌরী সেনের পকেট থেকে, অসুবিধা কি? এই সিস্টেমে কেউ কাউকে ঠকায় না। আমাদের রুবেল আর আরিফ সে রকম একটা সিশ্তেমের খোজ জানে। এই সিস্টেমে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদুত থেকে শুরু করে দেশের প্রধান হোমরা চোমড়ারাও আছেন। যাক সে কথা এখানে আর না বলি।

রুবেল গত প্রায় ১ বছর যাবত এই সব সিস্টেমের সাথে চলাফেরা করে করে সেও কিছু কাজ হাতে নিতে পেরেছে। কিন্তু তার সবচেয়ে বড় সমস্যা দাড়িয়েছে তারদের হাতে ওয়ার্কিং কোনো ক্যাপটাল নাই। ব্যাপারটা খুব মনোযোগ সহকারে বুঝলাম।

এবার আমাদের পক্ষ থেকে কিছু শর্ত জুড়ে দিলাম যে, আমরা কাজ করতে পারবো যদিঃ

ক।      কোনো টাকার মধ্যে অর্থাৎ আমাদের পক্ষে আসা কোনো টাকায় কোনো কালো টাকা না আসে। যেমন কাজে ফাকি দিয়ে অযথা বিল না করা হয়। কিংবা দুই নম্বরী করে কোনো কাজ না করা হয়। আমরা আল্লাহকে ভয় পাই। টাকার অতো বেশী আমাদের দরকার নাই কিন্তু সৎ থাকতে চাই নিজের কাছে, নিজের দেশেরর কাছে আর হালাল টাকা কামাই করতে চাই।

খ।       যে সব কাজ ইতিমধ্যে রুবেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর নামে বরাদ্ধ হয়ে গেছে, সে সব কাজ গুলি পুনরায় একটা নতুন কোম্পানী (যেটা আমরা সবাই মিলে ফর্ম করবো) তার নামে আনতে হবে। যদি কোনো কাজ রুবেল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক্স থেকে ট্রান্স ফার না করা যায়, তাহলে রুবেল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক্স ও আমাদের সবার মালিকানা থাকতে হবে যাতে সেটাও আমাদের পলিসিতে চলে।

গ।       আমরা সব ফাইন্যান্স করবো, এবং এই ফাইন্যান্স কোম্পানীকে আপাতত লোন হিসাবে প্রদান করা হবে যা কোম্পানী তার লভ্যাংশ থেকে আমাদেরকে পুনরায় পরিশোধ করে দেবেন।

ঘ।       কোম্পানীর একটা নাম ফিক্সড করা হলো। আমি সাথে সাথেই বললাম, এই নতুন কোম্পানীর নাম হ ওয়া উচিত আল্লাহর নামে। যেমন- আন নূর।

সবাই এক সাথে নামটা খুব পছন্দ করলেন। আমরা এই নামের বরকতেই ইনশাল্লাহ সৎ ভাবে সঠিক কাজ গুলি করতে পারবো। আন নূরের জন্ম হয়ে গেলো। এই নতুন কোম্পানীর মধ্যে আমরা নতুন এক ব্যবসায়ীক দরজায় দাঁড়িয়ে গেলাম যার-ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আমি নিজে, চেয়ারম্যান আমার প্রিয় মূর্তজা ভাই, ডাইরেক্টর হিসাবে ফারুক এবং রুবেল আর শেয়ার হোল্ডার হিসাবে থাকলো দুলাল মোল্লা।

জয়েন্ট স্টক থেকে এর নতুন জন্ম শুরু আলহামদুলিল্লাহ।