৯/৮/২০২৩-মাহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পীস এওয়ার্ড-২০২৩

আমার কথা 

কোনো কিছুই আমি জানি না, হটাত আমার অফিসে একটা রেজিষ্টার্ড চিঠি নিয়ে এলো কুরিয়ার সার্ভিস। সাধারনত যে কোনো চিঠি আমার অফিসে আমার HR Division Head তা রিসিভ করে। কিন্তু এই কুরিয়ার সার্ভিসের লোক কোনো অবস্থাতেই আমাকে ছাড়া উক্ত চিঠিটা আমার HR Division Head এর কাছে দিতে নারাজ। আর সেটা আমাকেই রিসিভ করতে হবে বলে জানালো।

অতঃপর চিঠিটা আমি নিজেই রিসিভ করলাম। চিঠিটি এসেছে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল থেকে। বলা যায় আমার জন্য এটা অপ্রত্যাশিত একটা চিঠি যার বিষয়বস্তু হচ্ছে-“মাহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পীস এওয়ার্ড-২০২৩”। সাংগঠনিক দক্ষতা ও মানবসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিসরূপ উক্ত “মাহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পীস এওয়ার্ড-২০২৩” এ ভূষিত করার জন্য সংগঠনটি আমাকে মনোনীত করেছে।

অনুষ্ঠানটি ৯ জুন ২০২৩ তারিখে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ কলিকাতা জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি রথীন্দ্র মঞ্চে “ভারত-বাংলাদেশ রবীন্দ্র-নজরুল বঙ্গ উৎসবে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে এবং  চুড়ান্ত মনোনীত ব্যক্তিদের অথবা সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলে তাদের প্রতিনিধিকে তারা উক্ত পুরুষ্কারটি প্রদান করবেন। অনুষ্ঠানটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মাননীয় মন্ত্রী, বিধায়ক, এমএলএ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত শিল্পীবৃন্দ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শিল্প সাহিত্য অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।

সংবাদটি আমাকে যারপর নাই বিস্মিত করে এবং আমি নিজে  যাচাই বাচাই করার জন্য ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের অফিসে যোগাযোগ করি। জানতে পারলাম যে, এর আগেও বাংলাদেশ থেকে কয়েকজন বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গকে তারা এ পুরুষ্কারে ভূষিত করেছেন। শিক্ষা, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, শান্তি, সমাজ এবং মানব সেবা ইত্যাদি আরো অনেকগুলি সেক্টরে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল থেকে এসব পুরুষ্কার দেয়া হয়। সাংগঠনিক দক্ষতা ও মানবসেবায় এবার তারা আমাকে নির্বাচন করেছেন। আমি তাদের বিস্তারিত সার্ভের পদ্ধতিটা জেনে খুবই অবাক হয়েছিলাম কিভাবে তারা এসব ব্যক্তিবর্গকে নির্বাচন করে।

আমি উক্ত ৯ জুন ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানে ব্যস্ততার কারনে উপস্থিত থাকতে পারিনি। ফলে বাংলাদেশ লোকাল অফিসের সম্পাদক শাহ আলম চুন্নু সাহেব আমার পুরুষ্কারটি গ্রহন করেন এবং গতকাল সেটা সার্টিফিকেট সহকারে পুরুষ্কারটি আমার অফিসে হস্তান্তর করেন।

আমাকে এহেনো সম্মানে ভূষিত করার জন্য ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিলের কার্য নির্বাহী পরিষদ, নির্বাহী পরিষদের সভাপতি শুভদীপ চক্রবর্তী (ভারত), ভারত-বাংলাদেশ রবীন্দ্র-নজরুল পরিষদের আহবাহক মোঃ আর কে রিপন, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিলের সম্পাদক (বাংলাদেশ) শাহ আলম চুন্নু ভাইকে আমার ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাই।

সম্মাননা পুরুষ্কারটি হাতে পাওয়ার পর আমার সংস্থার কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ আমাকে অভিনন্দন জানায়।

আজ ১১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে সরকারি বাংলা কলেজের সম্মানীত শিক্ষক মন্ডলীর উপস্থিতিতে  কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল প্রফেসর মিটুল চৌধুরী এবং আমার বড় মেয়ে ডাঃ আনিকা তাবাসসুম উম্মিকা এই সম্মাননা উদযাপনের মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণীয় করেন। আমি সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। 

সনদপত্র

বাঙলা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সংবর্ধনা

বাঙলা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সংবর্ধনা

মাহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পীস এওয়ার্ড পেলেন মেজর মোহাম্মাদ আখতার হোসেন (অবঃ)

‘মাহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পীস অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেয়েছেন মেজর মো. আখতার হোসেন (অব.)। তিনি মা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রিভার সাইড সুয়েটার্স লিমিটেড, আন-নূর ফ্যাশন্স লিমিটেড, এম এ ট্রেডার্স, ধলেশ্বরী গ্রীনভিলেজ প্রমুখ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত ৯ জুন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ কলিকাতা জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি রথীন্দ্র মঞ্চে “ভারত-বাংলাদেশ রবীন্দ্র-নজরুল বঙ্গ উৎসবে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেজর মো. আখতার হোসেন (অবঃ) কে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মাননীয় মন্ত্রী, বিধায়ক, এমএলএ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত শিল্পীবৃন্দ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শিল্প সাহিত্য অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সাংগঠনিক দক্ষতা ও মানবসেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল মেজর মোহাম্মাদ আখতার হোসেন (অবঃ) কে এই সম্মাননা প্রদান করেন।

ব্যবসায়ীক বিশেষ ব্যস্ততার কারনে উক্ত ৯ জুন ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানে মেজর মোহাম্মাদ আখতার হোসেন (অবঃ) উপস্থিত থাকতে না পারায় তাঁরপক্ষে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল (বাংলাদেশ) এর সম্পাদক জনাব শাহ আলম চুন্নু ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী পরিষদ, নির্বাহী পরিষদের সভাপতি জনাব শুভদীপ চক্রবর্তী (ভারত) থেকে সার্টিফিকেট এবং সম্মাননাটি গ্রহন করেন এবং গত ৯ আগষ্ট ২০২৩ তারিখে উক্ত সার্টিফিকেটসহ সম্মাননাটি জনাব শাহ আলম চুন্নু মেজর মোহাম্মাদ আখতার হোসেন (অবঃ) এর অফিসে হস্তান্তর করেন।

সার্টিফিকেট এবং সম্মাননাটি পেয়ে মেজর মোহাম্মাদ আখতার হোসেন (অবঃ) বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনালগ্ন থেকেই বন্ধুপ্রতীম ভারতকে আমরা সবসময় পাশে পেয়েছি। আজ এই বিরল সম্মাননায় আমি মুগ্ধ এবং কৃতজ্ঞ। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিলের মানব সেবার যে মুখ্য উদ্দেশ্য তা এই সম্মাননার প্রেক্ষিতে আমাকে ভবিষ্যতে আরো উজ্জীবিত এবং অনুপ্রেরনা জোগাবে।

সম্মাননার ক্রেষ্টটির ছবি নীচে দেয়া হলো। 

Alokito Bangladesh Paper Cutting 13 Aug 23

RSSL

Daily Bangladesh News Paper

Daily Alokito Bangladesh Ners Paper