আমার বউকে বললাম, কি এক অবস্থা আমার চুলের! সব সাদা হইয়া যাইতেছে। একমাস পরপর কালো কলপ দিয়া কালী কইরা আর কত? ভাবছি, এবার কালো কলপ না দিয়া সাদা স্নোসেম মাইরা পুরাই সাদা কইরা ফালাই। কি বলো?
বউ আয়নায় কি জানি রূপচর্চা করিতেছিল। আয়নার দিকে তাকাইয়াই আমার উদ্দেশ্যে বলিলো-করো, অসুবিধা নাই, ভুতের মতন দেহা যাইবো তোমারে। যেই না চিকার মতো চেহাড়া, আবার সাদা চুল। ভুতের মতোন লাগবো।“
মনে মনে ভাবলাম, হায়রে আজ থেকে ৩৬ বছর আগের সেই চেহাড়া কোথায় গেলিরে বাপ? তখন তো এই মহিলাই আমারে নায়ক শাহরুখ খান ভাবতো। তাই আমারে ছাড়া আর কাউরে বিয়া করবো না কইয়া তিনদিন না খাইয়া আছিলো। আমি নাকি সেই রাজপুত্তুর। বিশ্বে আমার থেকে নাকি এতো সুন্দর যুবক আর তাঁর চোখে পড়ে নাই। আর আজ? কষ্টে কইলজার সাথে মাথার চুল পর্যন্ত পইড়া যায়যায় ভাব।
ঢেকুর তুলিয়া বলিলাম,
যাক, তাওতো ভালোই। সবাই তো ভুতেরেই ভয় পায়। রাস্তায় গাড়ির জ্যামে আমাকে দেখলেই সবাই ভয়ে রাস্তা ফাকা কইরা দিবো, জ্যাম শেষ। উগানাডার পুলিশও মনে হয় ভুতেরে ভয় পায়, পাওয়ার তো কথা। তারাও আর অযথা আমার গাড়ি চেকের ঝামেলা করবো না, যারা সুদটুদ খায়, তারাও নিশ্চয় আল্লাহরে ভয় না পাইলেও ভুতেরে তো অবশ্যই ভয় পায়। তারাও আর কেঊ টাকা পয়সা চাইবো না। ভুতের সাথে আর যাই হোক, লেনদেন করা বিপদজনক। অনেক বাটপার টাটপার আছে, টাকা ধার চায়, তারাও ভুতের চেহাড়ার কারনে কাছেটাছে আইবো না, আর ধারও চাইবো না, সবাই আমারে ডরাইবো। অস্ত্র ছাড়া, হুমকী ছাড়া, ঘুষ বানিজ্য দেয়া ছাড়া সবাই আমারে ভুত মনে কইরা ডরাইবো। মন্দ কি? এমন মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করা কি আমার ঠিক হইবে?
জাতী জানতে চায়।