১৭/৮/২০২০-বাস্তবাদী আমি

আমি খুবই বাস্তব বাদী একজন মানুষ, আর আমি অনেক সহজেই যে কোনো  কিছুতেই হার, বিশেষ করে সেসব ব্যাপারে যেগুলিতে হেরে গেলে শুধুমাত্র আর্থিক কিছু ক্ষতি হয়, মেনে খুব সহজে মনের জোরে একটা সাভাবিক লাইফ চালানোর খাপ খেয়ে নিতে পারি। আমি সব সময় মনে করি, যেটা হয়, তার মধ্যেও নিশ্চয় ভালো কিছু তো আছেই। সময় ভালো হোক আর না হোক, সময় কেটেই যায়। নতুন সময় সামনে আসে। সেটাও কেটে যায়, আবার আরেকটা সময় সামনে আসে। আর প্রতিটা সময় সবার জন্যই কিছু না কিছু রেখেই যায়। এই রেখে যাওয়া সময়ের সাক্ষি একদিন ইতিহাস হয়ে যায়, আবার কারো কারো সময়ের এই ইতিহাস এমন কিছু দিয়ে যায় যা সারা জগতময় চারিদিকে অনেক লম্বা সময় ধরে ভেসেই ভেড়ায়।

তোমাদের বেলায় আমার ধারনা একেবারেই সচ্ছ। কারন তোমাদেরকে আমিই তিলে তিলে বড় করছি। তোমাদের অনেক আইডিয়া আমার থেকে জন্ম নেয়। তোমাদের অনেক পছন্দ আমার থেকে উতপত্তি। তোমরা ইচ্ছে করলেই আমার এই বলয় থেকে ছুটে যেতে পারো বটে কিন্তু তোমরা বাকী জীবনের সবকিছু আমার তৈরী ডাইস দিয়েই লাইফ চালাবে বা চালাইতে হবে। বারবার মনে হবে, যদি বাবা এখন আমার পাশে থাকতো। যদি আকাশ আমার হাত ধরে বলতো, এটা না, ওটা করো। তুমি নির্ধিধায় সেটাই করবে বা করতে। কারন আমার উপর তোমাদের বিশ্বাস শতভাগ।

আমি তোমাদেরকে যতোটা ভালোবাসি, তার থেকে বেশি সম্ভবত মায়া করি। মায়া হচ্ছে একটা বাড়ির মতো। এয়ারপোর্টের লাউঞ্জ যতো সুন্দরই হোক, অথবা ফাইভ স্টার হোটেল যতো ভালই হোক, সেটা আমার নিজের ঘর নয়। তার উপর মায়া জরাতে নেই। তাতে শুধু কষ্টই বাড়ে। নিজের হয় না। তাই চেক আউটের সময় অর্থাৎ ওখান থেকে বের হবার সময় মন খারাপ করা মানে নিজেকে বোকা মনে করা। কিন্তু নিজের ঘর, নিজের মানুষ যতো অসুন্দরি হোক কিংবা গরীব, সেটা আমার নিজের। তার থেকে চেক আউট করার সময় চোখের পানি পড়া মানেই মায়া।

তোমরা আমার লাউঞ্জ না, না কোনো ফাইভ স্টার হোটেল। তোমরা আমার নিজের ঘর। আমি এয়ারপোর্টের লাউঞ্জ পছন্দ করি, ওখানে খেতে পছন্দ করি কিন্তু মায়ায় জরাই না। তোমাদেরকেও আমি ঠিক তাই মনে করি যে, তোমরা আমার একটা মায়া। তোমাদের থেকে চেকআউট করা আমার চোখে জল ছাড়া আর কিছুই না। আর আমি আমার চোখের জলকে ভয় পাই। যে চোখের জলকে ভয় পায়, সে এমন কোনো কাজ করে না যে, জল পড়বে। আমি জল চাই না। তোমরা আমার অনেক কাছের একটা বাড়ি। ইট পাথর দিয়ে দাড় করিয়ে দেয়া চারটা দেওয়াল মানেই কিন্তু বাড়ি নয়। সেটা শুধুমাত্র ঘর। আর সেই ঘরকে বাড়ি বানায় তাতে বসবাস করা হাসি খুশী পরিবার। এমন একটা পরিবার যারা একে অপরকে ভালোবাসে। ভরষা করে। আর এই বাড়ির প্রধান ফটক টা হচ্ছি আমি নিজে যেখান দিয়ে কোন অশুভ শক্তি যেমন প্রবেশ হতে দেই না আবার তেমনি বাড়িত শান্তি বিনষ্ট কারী কোনো উপাদানকেও আমি বাড়ির চারপাশে রাখার কোনো অনুমতি দেই না। 

আমি কারারক্ষীর মতো সর্বদা সজাক, আর এটা শুধু তোমাদের জন্য। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *