২৮/৫/২০২২-৩০ বছর পিছিয়ে আমেরিকা

প্রায় ৩০ বছর পিছিয়ে গেছে আমেরিকা এই অঞ্চলে এই ধরনের একটা ট্রেড ইনিশিয়াটিভ গ্রুপ তৈরিতে। যেখানে চায়না, ইন্ডিয়া, রাশিয়া আরো ৩০ বছর আগে শুরু করেছিলো। এই অঞ্চলে যে কয়টা সবচেয়ে পুরানো এবং বড় ট্রেড ইনিশিয়াটিভ আছে সেগুলি (১) RCEP (২) CPTPP (৩) Belt and Road । আর এর প্রতিটিতেই চায়না, রাশিয়া আর ইন্ডিয়া জড়িত। এদের প্রত্যেকের ইনিশিয়াটিভের উদ্দেশ্য একই।

অন্যদিকে এই ১৩ টা দেশের বর্তমান যারা নতুন করে জয়েন করছে, তারা হলোঃ আমেরিকা, অষ্ট্রলিয়া, ব্রুনেই, ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিন কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, এবং ভিয়েতনাম।

এখানে রাশিয়া আর চায়না নাই বটে কিন্তু তাদের গ্রেট এলায়েন্স ইন্ডিয়া আছে, ফিলিপাইন আছে, ইন্দোনেশিয়া আছে, আর আছে ভিয়েতনাম।

হিসাবটা খুব সহজ বলে মনে হবে না।

আমেরিকা বারবার এতো তাড়াহুড়া করছে এর অন্তর্নিহিত মানে বুঝার জন্য একটা কথাই যথেষ্ট। আর সেটা হলো রাশিয়ার উপর 'নিষেধাজ্ঞা' দিয়ে রাশিয়া এই অঞ্চলগুলিতে একচেটিয়া বাজার ধরে ফেলতেছে আর ডলার মুদ্রা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে সুইফট ব্যবস্থা সহকারে। তাছাড়া, অল্প দামে রাশিয়া থেকে কমোডিটি পাওয়ায় অন্যান্য দেশের কমোডিটির দাম আমেরিকার কমোডিটির দামের চেয়ে কম থাকবে। ফলে আমেরিকার সব কমোডিটি খুব অচীরেই বাজারে দামের কারনে পিছিয়ে যাবে। বাজার হারানোর সম্ভাবনা খুব বেশী।

নিষেধাজ্ঞাটা খুবই খারাপ ফলাফল এনে দিয়েছে সমস্ত ইউরোপ এবং পশ্চিমা দেশে। একদিকে রিফুজি ক্রাইসিস নিয়ে ভোগা শুরু হবে ইউরোপের দেশ গুলি, অন্যদিকে এনার্জি সংকটে পড়ছে ইতিমধ্যে, ইউরোপিয়ান দেশগুলির মধ্যে ঐক্যের ফাটল শুরু হয়ে গেছে। সাধারন নাগরিকগন এখন আর এসব চাইছে না।

ফলে আমেরিকার সেফ এক্সিট পেতে হলে, ন্যাটো নিয়ে এতো কিছু থেকে সরে আসতে হবে, রাশিয়ার সাথে (ইন্ডিয়া, চায়নাসহ) এদের সাথে একটা সৌহার্দ্যপূর্ন কম্প্রোমাইজে আসতেই হবে।

এই যুদ্ধটার আনবিক বোমাটা হচ্ছে আসলে ইকোনোমি। রাশিয়া তাই যুদ্ধটা অনেক বিলম্ব করবেই। যত বিলম্ব হবে, ততো ইউরোপ আতঙ্কিত এবং সাফার করতে থাকবে। নিষেধাজ্ঞায় সবচেয়ে লাভবান হয়েছে রাশিয়া। যদি সারা বিশ্ব রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দিতো, তাহলে রাশিয়ার শক্তি কমাতে পারতো। শুধুমাত্র পশ্চিমা দেশ আর ইউরোপ নিয়েই তো সারা বিশ্ব নয়। এখানেই ভুলটা হয়েছে বড় বড় নেতাদের।