প্রতিনিয়ত কারেন্সীর মান কমে গেলে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংকিং সেক্টরে সুদের হার বাড়ানো ছাড়া অনেক দেশের আর কোনো ইমিডিয়েট বিকল্প থাকে না। সেই প্রেক্ষাপট থেকে বলছি- হয়তো আমাদের দেশের ব্যাংকিং সেক্টরেও এটা ঘটতে পারে।
অন্যদিকে গত কয়েকদিন আগে দেখলাম আমাদের দেশে গোল্ডের দাম কমেছে। গোল্ড যেহেতু কারেন্সীর ভ্যালু নির্নায়ক, ফলে ডলারের দাম বাড়ার সাথে গোল্ডের দাম কমার কোনো যুক্তি খুজে পাইনি। হতে পারে এটা ইনফ্লেশন থামানোর একটা সাময়িক কৌশল।
৩য় মহাযুদ্ধটা আসলে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। সেটা ইকোনোমিক্যাল ওয়ার। কোনো অস্ত্র ছাড়া দেশে দেশে এই গন্ডোগোল পাকাবে, আর এর সুযোগে একটা বিশাল পোলারাইজেশনের সৃষ্টি হবে।
ইউক্রেনের যুদ্ধটা এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। একটা সুপার পাওয়ার গত ২২ বছর হোম ওয়ার্ক করে প্রস্তুতি নিয়েছে, সংগী বাছাই করে বলয় তৈরী করেছে, আরেক পক্ষ হুট করে কোনো হোম ওয়ার্ক না করে যখন যা ইচ্ছে সেটাই প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে। একটা অসম পরিকল্পনা মনে হচ্ছে।
একজন খুব ক্যালকুলেশন করে হম্বি তম্বি না করে কাজ করেই যাছে যেনো একটা সিনেমার দৃশ্য থেকে আরেকটা দৃশ্য সাজানো। অন্যজন এক গাদা সভা পরিষদ নিয়ে তাল মাতাল অবস্থা। বেশি ধরতে গিয়ে সব যেনো হাত থেকে সরে যাচ্ছে।
একটা প্রবাদ পড়েছিলাম A bird in hand is more worthy than that of two in the bush.
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দিন।