ISIS অথবা ISIL

আইএসআইএস অথবা আইএসআইএল (যাদের পুরু মিনিংটা হচ্ছে ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এন্ড সিরিয়া, অথবা ইসলামিক ষ্টেট অফ ইরাক এন্ড দি লিভান্ট। এখানে জানা দরকার লিভান্টটা কি। লিভান্ট হচ্ছে তুরুস্কের দক্ষিন অঞ্চল থেকে শুরু করে মিশরসহ সিরিয়া, লেবানন, প্যালেস্টাইন, ইসরায়েল  এবং জর্ডান সম্বলিত যে রিজিওনটা হয় সেটা।

 এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ

যেই নামেই এটাকে ডাকা হোক না কেন, এটা ব্যাসিকেলি আল কায়েদার অবশিষ্ট কিছু গ্রুপের একটা সমন্বিত বাহিনীর মিশ্রণ যারা সুন্নি জিহাদিস্ট দল নামে পরিচিত। আমেরিকা যখন ইরাক আক্রমন করে, তখন আল কায়েদার বাহিনি ছিল এই পুরু দল। কিন্তু লিডারশীপ নিয়ে মারামারিতে সর্ব প্রথম আল কায়েদা পাকিস্তানে এর ভাঙ্গন শুরু হয় ২০০৩ সালে। যদি নাম ধরে ধরে বলা হয় কারা কারা এর অংশ হিসাবে কাজ করছে তাহলে প্রথম যাদের নাম আসবে তারা হলঃ আল কায়েদা (ইরাক), মুজাহিদিন সুরা কাউন্সিল, ইসলামিক ষ্টেট অফ ইরাক, জেইস আল তাইফা আল মান্সুরা, জায়েস আল ফাতিহিন, আল সাহাবা কাটবিয়ান আনসার আল তৌহিদ অয়াল সুন্নাহ, এবং ইরাকের কিছু সুন্নি উপজাতি। ২০০৬ সালের ১৫ অক্টোবর বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর 'আইএসআই'-এর আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের কথা ঘোষণা করা হয় এবং আবু ওমর আল বাগদাদি গ্রুপটির নেতা বলে জানানো হয়। ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল আবু ওমর নিহত হলে আবুবকর আল বাগদাদি এই জঙ্গি গ্রুপটির নতুন প্রধান হয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে গ্রুপটির বিস্তার শুরু হয়। 'নয়া বিন লাদেন' নামে খ্যাত বাগদাদিকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য মার্কিন সরকার দশ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। বাগদাদি ২০০৫ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইরাকের উম্মে কাসর শহরে একটি মার্কিন কারাগারে বন্দি ছিল। ২০০৩ সালের আগেও সে আলয়দার সদস্য ছিল বলে মনে করা হয়। বাগদাদির আরেক নাম ছিল আবু দায়া। ২০০৫ সালে তাকে হত্যা ও অপহরণসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

২০১১ সালে যখন সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয় তখন অনেক ইরাকি ফাইটারগন সিরিয়ায় গমন করে এবং তারা সিরিয়ান ও অন্যান্য বিদেশী ফাইটারগনের সাথে এক হয়ে কাজ করে। তাঁদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হিসাবে অবজেক্টিভ প্রচারনা করে যে শেষ খিলাফত রক্ষার জন্য শরিয়া বেজড ষ্টেট তৈরি করার জন্য তারা এই যুদ্ধ করছে এবং এটা শুরু হচ্ছে সিরিয়া এবং ইরাকে।  

এটার জন্য কে বা কারা টাকা দিচ্ছে এটা বুঝার খুব দরকার। মজার বিষয় হচ্ছে এরা আমেরিকার বিরুদ্ধে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে, আবার টাকা দিচ্ছে সউদি আরব, ইরান, কুয়েত, কাতার এবং সিরিয়া। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, যদিও বলা হয় যে, সিরিয়া সরকার মানে আসাদ সরকার পরোক্ষভাবে এদের সাহাজ্য করছে কিন্তু ওরা সিরিয়ার বিরুদ্ধেও কাজ করছে বলে মনে করা হয়। এর প্রমান হিসাবে আপাতত ধরা যায় যে, কয়েকদিন আগে মুসুল এবং ফালুজার কিছু শহর দখলের পর তারা সিরিয়ার কিছু ইসলামিক গ্রুপকে চ্যালেঞ্জ করেছে। মুসুল দখল করার সময় তারা ৪০০ মিলিয়ন ডলার সমপরিমান টাকা লুট করে ওদের অর্থনৈতিক অবস্থান আরও শক্ত করে ফেলেছে।  জানা যায় যে, এদের প্রতি মাসে প্রায় ৮ মিলিয়ন ডলার আয় হয় বিভিন্ন সোর্স থেকে।

সিরিয়ায় কট্টর ইসরাইল-বিরোধী আসাদ সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে পাশ্চাত্য, ইসরাইল এবং তাদের আঞ্চলিক সেবাদাস সরকারগুলোর মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের মাধ্যমে যুদ্ধ শুরু হলে 'আইএসআই'ও বিদ্রোহীদের পক্ষে যোগ দিয়ে এ যুদ্ধে অংশ নেয়। সিরিয়ায় ২০১১ সালে গঠিত আন নুসরা ফ্রন্টও 'আইএসআইএল'-এর একটি শাখা হিসেবে দেশটির সরকারি সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকে। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে আবু বকর আল বাগদাদি এক অডিও বার্তায় জানিয়ে দেয় যে 'জিবহাতুন নুসরা' বা 'আন নুসরা ফ্রন্ট' 'আইএসআই'-এর অর্থ ও সহায়তা নিয়েই গঠিত হয়েছে এবং এই দুই গ্রুপ একত্রিত হয়ে 'আইএসআইএল' নাম ধারণ করেছে।

'আইএসআইএল'-এর যোদ্ধারা গত দশই জুন ইরাকের নেইনাভা প্রদেশের প্রধান শহর মসুলের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে নেয়। শহরটি জনসংখ্যার দিক থেকে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এ ছাড়াও তারা দখল করে ফাল্লুজা ও সাদ্দামের জন্মভূমির শহর তিকরিত। তিকরিত সালাহউদ্দিন প্রদেশের প্রধান শহর। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকিসহ অনেক কর্মকর্তা বলেছেন, ইরাকের একদল সেনা কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ায় এক ষড়যন্ত্রমূলক সমঝোতার আওতায় এই প্রদেশের ৫০ হাজারেরও বেশি সরকারি সেনা কোনো ধরনের বাধা না দিয়েই সন্ত্রাসীদের কাছে শহরটির প্রধান সরকারি ভবন, অস্ত্রাগার, ব্যাংক ও কারাগারগুলোর নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়।

এতক্ষন যা বললাম তা হচ্ছে দৃশ্যমান কিছু তথ্য। এর মাঝে অনেক অদৃশ্যমান স্ট্রেটেজি রয়েছে যা সাধারন চোখ দিয়ে দেখলে পুরু ব্যাপারটা বোধগম্য হবে না। এটা নিতান্তই আমার মতামত। 

 আমার মতামতঃ

(১) কেউ কেউ বলে যে আসলে এমআই ৬, মোসাদ অথবা  সিআইএ দ্বারা এই আইএসআইএস/এল প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত। এই সংস্থা গুলো উক্ত আইএসআইএস কে তাঁদের ফ্রন্ট অরগ্যেনাইজেসন হিসাবে ব্যবহার করে। এখানে একটু জেনে রাখা ভাল যে, "ফ্রন্ট অরগ্যানাইজেসন" একটা মিলিটারি টার্ম যার অর্থ হচ্ছে এই রকম,

" Front groups are intended to deceive the casual observer by carrying out actions without disclosing who instigated them. They include astroturf (fake 'grassroots' organisations) operated by legitimate companies as well as fronts operated by groups with more questionable legitimacy to provide plausible deniability to as criminal groups, governments or intelligence agencies."

(২) গালফ ওয়ার যারা শেষ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করে তারা হয়ত আমার চেয়ে আরও অনেক বেশি ভবিষ্যৎ দেখতে পায় কিন্তু আমি সাধারন সেন্সে বলতে পারি যে, মিডল ইস্টকে যে কোনভাবেই আমেরিকা, ইউ কে বা অন্যান্য যারা এই এলাকার তেলসমৃদ্ধ দেশকে নিজেদের কন্ট্রোলে রাখতে চায় তারা কোন না কোনভাবে গালফওয়ার, বা প্যালেস্টাইন ওয়ার কিংবা সিরিয়া বা ইরান ক্রাইসিস লাগিয়েই রাখবে। এরা যে কোনভাবেই হোক একটা না একটা ছুতা বাহির করবেই। আর এই ছুতার আরেক নাম হচ্ছে আইএসআইএস বা আইএসআইএল। ইরাক থেকে আমেরিকা বা যুক্তরাজ্য বের হয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে তারা আরেকটি প্যারাসাইট তৈরি করেই বের হয়েছিল আর সেটাআই হচ্ছে এটা। ইরাককে এখন শিয়া এবং সুন্নি দুই অংশে ভাগ করে যে কোন একটার দিকে হেলে গিয়ে পুনরায় তাঁদের আধিপত্য বজায় রাখা হচ্ছে এর আসল লক্ষ।

ইরাকে নিউক্লিয়ার অস্র আছে এই প্রোপাগান্ডা ছরিয়ে যেমন গালফ ওয়ারটা হয়েছিল, এখন আইএসআইএস এর চাদরে ইরাককে আবার খন্ড বিখন্ড করা হবে। আর এ কারনেই আমরা দেখলাম যে, rapid march of the ISIS towards Baghdad and its swift takeover of Mosul and Tikrit, and Baiji oil refinery, Fallujah and Ramadi in the Anbar Province,

শুধু তাই নয়, seizure of border crossings into Syria and Jordan are presented by political analysts as a “civil war” fought along sectarian lines, Sunni Arabs versus Shiia Arabs.

এর সঙ্গে দৃশ্যমান ফলাফল অনুমান করা যায় যে, the ethnically different Iraqi Kurds who have enjoyed semi-independence under the US patronage and are now on the verge of declaring complete independence from Baghdad.

এর ফলে ভবিষ্যতে কি হবে তার একটা সরল রেখা টানা খুব সহজ। ইরাক ভেঙ্গে তিন টুকরা হবে। সুন্নি ইরাক, শিয়া ইরাক এবং সাধিন কুরদিস্থান। আর এর ফলে যেটা হবে তা হচ্ছে এই অঞ্চলে ইসরায়েল হবে একমাত্র শক্তিশালি দেশ যার কাছে আছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার। আর মিডল ইস্ট এ আছে তেল যা ইসরায়েলের সাহাজ্যে আমেরিকা বা ইউ কে এরা এই চমৎকার ভাগাভাগিতে আনন্দ উল্লাস করবে।

তবে প্রশ্ন আসতে পারে কেন আমেরিকা এই পলিসিটা গ্রহন করল। এটা বুঝবার জন্য তোমাকে একটু দূরে ইতিহাসটা চোখ খুলে তাকাতে হবে।

ওয়ার অন টেরর যখন শুরু হয়, তখন সারা পৃথিবীতে মানুষ কোন না কোনভাবে আমেরিকা বা ইউকে কে এক তরফা ব্লেম করছিল এবং তাঁদের দেশের নাগরিকগন বিশ্ববাসির কাছে অনেকটা ঘৃণা এবং অপদস্ত হচ্ছিল। এতে তাঁদের দেশের নাগরিকরাও তাঁদের দেশের হর্তাকর্তাদের সমালচনা শুরু করে দেয়। ওয়ার অন টেররের মুল উদ্দেশ্য ছিল কিন্তু শুধুমাত্র মুসলিমদেরকে দমানো বা ওদের শক্তি কমানো। তাই একই উদ্দেশ্য সফল করার জন্য এবার তারা ভিন্ন পথ ধরেছে বলে আমার ধারনা। তারা এবার মুসলিম বনাম মুসলিম যুদ্ধটা শুরু করেছে যেখানে শিয়া ভার্সেস সুন্নি। এক্ষেত্রে ওয়ার অন টেরর কৌশলটা আর প্রয়োজন হবে বলে মনে হয় না। এতে শাপও মরল লাঠিও ভাঙল না। এটাকে আমরা "ওয়ার উইথইন ইসলাম"ও বলতে পারি। অংকের ফলাফলটা একই কিন্তু ফর্মুলাটা ভিন্ন। মাঝখান দিয়ে সারা বিশ্ব আমেরিকা বা ইউকে কে বা তার মিত্রদেরকে কোন প্রকার ব্লেম করার আর সুযুগ পাবে না।

 (২) একটা জিনিস খেয়াল করে দেখ যে, ইরাকের আইএসআইএসের বিরুদ্ধে আমেরিকা এয়ার স্ট্রাইক করছে কিন্তু ঐ একই আমেরিকা সিরিয়াতে আইএসআইএস কে সাপোর্ট করছে টাকা দিয়ে, পয়সা দিয়ে তথ্য দিয়ে এবং অস্র দিয়ে। এটা কিন্তু একটা ডাবল গেম। জাস্ট একদম এক ফর্মুলা যখন আমেরিকা আল কায়েদাকে সোভিয়েত রাশিয়ার বিরুদ্ধে লাগিয়ে পরে আবার আল কায়দাকেই ধ্বংস করার আরেক নমুনা। আমি প্যালেস্টাইনের ইন্তিফাদা পত্রিকার কিছু মন্তব্য তুলে ধরছি যা আমার কাছে মনে হয়েছে একদম ঠিক। "...  How do we really know what the US is doing in Iraq at the moment? How do we know that they really are carrying out strikes against ISIS? How do US forces know who is ISIS and who isn’t? Do ISIS members wear bright pink uniforms so that they stand out in a crowd and can thus be precision targeted by American fighter jets? For all we know, these air strikes could be targeting Iraqi army and police forces that are fighting against ISIS militants. Maybe the plan is to covertly help ISIS fragment and destabilize Iraq and exacerbate the country’s misery. Perhaps ISIS is being used as leverage against the unreliable puppets in Baghdad; one can picture Obama threatening al-Maliki that if he doesn’t follow Washington’s demands like a blind mule more ISIS fighters will be flooded into the country. This whole thing could also be an Orwellian bluff designed to deflect attention from Israel’s biennial ritual slaughter in Gaza. ISIS’s presence in Iraq is being used as an excuse to continue to bomb that beleaguered and thoroughly victimized nation. Obviously Washington doesn’t give a damn if the people of Iraq fall victim to ISIS; in fact Washington would love nothing more than a few more Iraqi corpses. Only a fool would believe that Washington cares about the well-being of Iraqis after extinguishing the lives of close to two million of them since the genocidal 2003 invasion and relegating millions more to lives of misery and despair. America wants to keep Iraq in a state of perpetual decay, unable to assert its own interests or do much of anything without Washington’s assistance.

(৩) এখানে আমার আরও একটি ব্যক্তিগত মতামত দিতে চাই এই আইএসআইএসের যে নেতা তার সম্পর্কে। যদি তিনি এম আই ৬, কিংবা সিআইএ অথবা মসাদ থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়েই থাকেন, কেন এই ব্যাক্তিকে তারা প্রশিক্ষন দিলেন? এই প্রসঙ্গে আমার আরও একটি পুরান উদাহরন দেওয়ার আছে। আর তা হল, আল কায়েদার বিখ্যাত সেই নেতা যার নাম ছিল আদম গাদান যিনি আল কায়েদার একমাত্র মুখ্যপাত্র ছিলেন। তোমরা কি জান সে কে?

সে ছিল একজন আমেরিকান ইহুদী যার আসল নাম ছিল এডাম পার্লম্যান। ৯/১১ এর সময় তিনি রাতারাতি নাম বদল করে দাড়ি টুপি পড়ে একেবারে ইসলাম দরদি হয়ে যে কোন উপায়ে আল কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতা বনে গেলেন। এটা আমেরিকার একটা চাল ছিল। এই সেই ব্যাক্তি যিনি "ওয়ার এগেইন্সট আমেরিকা" উচ্চারন করেছিলেন। পরবর্তীতে "অরেঞ্জ" পত্রিকা (একটা আমেরিকার পত্রিকা) এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে যে তিনি ছিলেন ইহুদিদের সবচেয়ে সমর্থক গোষ্ঠীর কোন এক নেতার নাতি। ঐ দাদা ছিলেন ইহুদীদের সমর্থিত সংস্থার বোর্ড অফ ডাইরেক্টর। এই তথ্য বের হওয়ার পর আদম সাহেবের আর কোন হদিস পাওয়া যায় নাই। একইভাবে আমরা কি করে জানব যে বর্তমান আইএসআইএস এর যে নেতা ডঃ আবু বকর আল বাগদাদিও ঐ রকম একজন নন? ডঃ আবু বকর আল বাগদাদির নাম কিন্তু আসলে সাইমন এলিওট। তার পিতা একজন ইহুদী। তোমাদের আরও কিছু তথ্য আমি দেই যা তোমরা আমাকে বিশ্বাস নাও করতে পার। আর তা হচ্ছে আল কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেন, বা জাওয়াহারি, এরা সবাই মসাদের প্রশিক্ষন প্রাপ্ত গুরু। বর্তমানে হামাস, সেটাও এই মসাদের তৈরি। এগুলো আলাপ করতে গেলে ইতিহাস লিখতে হবে। ইন্দোনেশিয়ার টপ মুসলিম ক্লারিক আবু বকর বশির যদিও মুসলিম পোশাকে সজ্জিত, কিন্তু তিনি মসাদ কর্তৃক পালিত এবং তাঁদের এজেন্ট হিসাবেই কাজ করে। তিনি একজন ক্রিপ্টো ইহুদী এবং ইয়ামেনি বংসধর যিনি বালি বম্বিং এ জরিত ছিলেন । তিনি Abu Bakar Bashir is the leader of the Indonesian Mujahedeen Council, and he is linked to Jemaah Islamiyah and the Mossad-run al Qaeda.। 

এই একই প্রসঙ্গে ইন্তিফাদা লিখেছে যে, "...... ISIS’s true intention, many claim, is to incite sectarian divide in Israel’s neighbouring states, thereby advancing Tel Aviv’s Oded Yinon plan for the balkanizing and fracturing of its regional foes. Is it any coincidence that ISIS and its affiliates have targeted Libya, Iraq, Syria and Lebanon with the most furor, while leaving the corrupt, US-backed dictatorships in Egypt, Bahrain, Jordan, Qatar, Kuwait, Saudi Arabia, etc., alone. Not to mention ISIS’s complete lack of action against Israel or the US    

(৪) তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, কেউ কেউ মসাদের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হয়ে কিংবা ওদের ল্যাজ ধরে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠার পর নিজেরা আবার মতবাদ পরিবর্তন করে ফেলায় ওরাই আবার আমেরিকা বা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। তার মধ্যে লাদেন একজন, ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমেদিনিজাদ একজন। যেমন বিট্রে করেছিল শ্রীলঙ্কার এলটিটিই র বেলুপেল্লাই প্রভাকরন ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে। ইন্ডিয়াই তাকে তৈরি করেছিল খোদ শ্রীলংকার বিরুদ্ধে কাজ করবার জন্য। কিন্তু পড়ে বেলুপেল্লাই প্রভাকরন আর নিজেকে ইন্ডিয়ার ছা পোষা হয়ে থাকতে চান নি এবং নিজে নিজে তার এক শক্ত বাহিনি গড়ে তোলায় ইন্ডিয়া নিজেও বেলুপেল্লাই প্রভাকরণকে মেরে ফেলার যত ষড়যন্ত্র আছে করেছিল এমনকি শ্রীলংকাকেও সাহায্য করেছিল। 

(৫) আই এস আই এস কি ইসরায়েল কে থ্রেড করে?

পৃথিবীর বিখ্যাত এই টেররিস্ট দলকে ইসরায়েল এখনো নিষিদ্ধ ঘোষণাও করে নি এবং এর বিরুদ্ধে কোন কমেন্টও করে নি। শধু নরম ভয়েসে একবার মিডিয়াতে  বলেছে যে, এরা যা করছে তা ন্যায়সঙ্গত নয়। এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে আইএসাইএস ও কিন্তু ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে কিছুই বলছে না।

আমি যদি এখন অন্যান্য ভেটো পাওয়ার ধারি দেশ গুলোর দিকে একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখি, তাহলে দেখা যাবে যে, রাশিয়া বা চায়না এরা একটা দারুন কনফিউসনাল স্ট্যাট দেখিয়ে কি করা উচিৎ তা সরাসরি কিছু বলছে না আর বল্লেও সে বলার মধ্যে যেন কেমন একটা নির্লিপ্ত ভাব আছে। সিরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি খাতির। আসাদ সরকারকে রাশিয়া সরাসরি সমর্থন করে। আবার আইএসাইএস সিরিয়াতে যুদ্ধ করছে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে। তাহলে তো রাশিয়ার উচিৎ আইএসাইএস কে রাশিয়া কন্ডেম করা। অন্য দিকে সিরিয়ায় যুদ্ধ কিংবা গণ্ডগোল লেগে থাকলে রাশিয়া ক্রমাগত সিরিয়াতে অস্ত্র বিক্রির একটা খনি থাকে। তো এমন একটা খনি রাশিয়াই বা কেন বর্জন করবে যেখানে রাশিয়াকে ইদানিং এক ঘরে করে দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বা আমেরিকা? এটা তো রাশিয়ার জন্য একটা অর্থকরী বাজার!! আবার এখনো ব্যাপারটা একদম ক্লিয়ার না আসলে আইএসাইএস কি আসলেই সিরিয়ার বিরুদ্ধে কিনা।

অন্য দিকে চায়নার ভিতরেও অনেক মুসলমান রয়েছে। তার নিজের শাসন ক্ষমতার মধ্যেও পুরুপুরি তারা গণতন্ত্র চর্চা করতে দেয় না ফলে চায়না কখনই চায় না আরেকটা অযাচিত সমস্যা নিয়ে নিজের দেশে একটা সমস্যা তৈরি হোক। তার মধ্যে ইদানিং আবার হং কোং নিয়ে তারা আরও বেশ নাজুক অবস্থায় পরে আছে। এ ছারাও চায়নাও চায় না যে, এই অঞ্চলে আইএসাইএস দ্বারা আরেকটি পাওয়ার গ্রুপ তৈরি হোক। এর মানে হচ্ছে চুপ থাক বাবা। চায়না ও কিন্তু রাশিয়ার মত সিরিয়ার সমর্থক। চায়না কিন্তু একটা কথা ইতিমধ্যে সরাসরি বলে দিয়েছে যে, তারা আইএস আই এস এর এন্টি কোয়ালিশন যুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে নাই তবে সর্বাত্মক মোড়াল সাপোর্ট দিতে প্রস্তুত। যেন ধরি মাছ না ছুই পানি। বিশ্ব রাজনিতি ভাই। 

 (৬) এখানে একটা ব্যাপার মনে রাখা দরকার যে, আইএসাইএস বাহিনিতে প্রুচুর পরিমানে আমেরিকান এবং বিদেশী যোদ্ধা আছে। এদেরকে আসলে প্ল্যান্ট করা হয়েছে বিশেষ ট্রেনিং দিয়ে। যদি কোন কারনে এই সব লোক গুলোকে এক সময় নিজের দেশে ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে এরা হয়ত বা নিজেরাই নিজের দেশে একদিন টেররিস্ট হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে অনেক বুদ্ধিজীবী রা আমেরিকা এবং ইউ কে কে সতর্ক করে দিয়ে ও লাভ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।

 (৭) এখানে একটা বিশেষ ধর্মীয় সত্ত্বার রক্ষার একটা দিক কাজ করছে আর তা হল, আইএসাইএস হল সুন্নি সম্প্রদায়ের একটা দল যারা শেষ খেলাফতকে রক্ষার নামে জিহাদ করছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। আবার ও দিকে ইরান হচ্ছে শিয়া প্রধান দেশ। ইরান কিন্তু তার ধর্মীয় দিক থেকেই আইএসাইএস কে সমর্থন দেবার কোথা নয়। আর এ কারনে ইরান আইএসাইএস এর বিরুদ্ধে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আমেরিকা যেহেতু ইরাক আইএসাইএস কে টার্গেট করে ওদের মারার চেষ্টা করছে বলে ভাব দেখাচ্ছে, এর মানে ওরা এটাও দেখাতে চাবে যে অতি শিগ্রই সিরিয়ার আইএসাইএস কেও টারগেত করবে। এতে চির শত্রু ইরানের সঙ্গেও আমেরিকার একটা অলিখিত বন্ধুত্ব হবে বলে একটা আভাস দেওয়ার সিগন্যাল মনে করা হচ্ছে। কিন্তু আসলেই কি তাই? খুব কমপ্লিকেটেড সিচুয়েসন এই আইএসাইএস।