২৯/৯/২০২৫-দূর্গা পুজা

আমি যে কোনো অনুষ্ঠানে সাধারনত অনেক কারনেই যেতে ইচ্ছুক হই না। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারন হচ্ছে-অনুষ্ঠানের রিচ খাবার আমাকে আকর্ষন করে না এবং আমি সাধারনত সেই রিচ ফুডগুলি এভয়েড করি। কিন্তু যদি কোথাও যেতে চাই, আমি আগে থেকেই আমার খাবারের মেন্যুটা একটু সম্মানের সহিত তাদের জানিয়ে দেই যে, আমার জন্য একেবারে প্লেইন রাইস, ডাল এবং কিছু শব্জি হলে ভাল হয়। এখন অবশ্য প্রায় অনেকেই জানেন আমার খাবারের সাধারন মেন্যুটা, ফলে আর বলতে হয় না। কিন্তু আমার কিছু কিছু খুব কাছের মানুষ আছেন যারা দাওয়াত দিলে খাই বা না খাই আমি যাবোই এটা নিশ্চিত। গয়েসশর দাদা আমার সে রকমের একজন মানুষ।

আমি রাজনীতি করি না কিন্তু আমি গয়েসসর দাদার একজন কাছের মানুষ। উনি সর্বদা আমাকে কিছু কিছু উৎসবে ব্যক্তিগতভাবে দাওয়াত দেন। কখনো কখনো কার্ড পাঠিয়ে, আর বেশীরভাগ সময়ে টেলিফোনে। এবারের দূর্গা পুজাতেও উনি দাওয়াত দিয়েছেন এবং ঘোষকান্দায় তার নিজের বাড়িতে যাওয়ার সময়ে ফ্যাক্টরির সামনে দিয়ে অতিক্রম করার সময় আমি যেন অফিসের কাজ দ্রুত শেষ করে অনুষ্ঠানে যাই সেটাও নির্দেশনা দিইয়েছিলেন। খুবই ব্যস্ত ছিলাম মিটিং নিয়ে ফলে প্রায় দুপুর প্রায় একটা বেজে গিয়েছিলো ওনার বাসায় যেতে যেতে।

আমি যখন ওনার বাসায় গেলাম, উনি তখন প্রচুর লোককে নিয়ে মিটিং কিংবা আলাপে/গল্পে মত্ত ছিলেন, আমি যাওয়ার পরই দাদা আমাকে নিয়ে কোলাকুলি করে তার নিজস্ব কামরাতে এসে বসলেন। অনেক আলাপ হলো, চা সিগারেট খাওয়া হলো, ভালো লাগছিলো। চলে আসতে চাইলাম কারন ফ্যাক্টরীতে বায়ার চলে এসছিলো কিন্তু দাদার আমন্ত্রনে না খেয়ে আসা হলো না। খেতেই হলো।

দাদার সবচেয়ে আমার ভাল লাগার জিনিষটা হল-উনি নিজ হাতে আমাকে খাবার পরিবেশন করেন। সেই ছোটবেলা থেকেই উনি আমাকে চিনেন যখন আমার বয়স মাত্র ১০। আমার বড় ভাই (এখন তিনি আমেরিকায় বোষ্টনে প্রফেসর হিসাবে আছেন) ওনার খুব কাছের বন্ধু হওয়ায় ভাইয়ের সুবাদে আমার বড় ভাই, গয়েসশর দাদা, আলিমুল্লাহ কাকা, আলাউদ্দিন মাষ্টার ভাই, আনোয়ার ভাই (ঢাকা ইউনিভার্সিটি), রহমান ভাই, নসরুল হামিদ বিপুর আব্বা হামিদ ভাই এরা তখন একটা খুব শক্তিশালি বন্ধু সংঘটন ছিলেন আর আমি সেই ১০ বছরের ছোট একটা পিচ্চি এই ইয়াং বন্ধু মহলের মধ্যে জড়িত ছিলাম কোনো কারন ছাড়াই। ওনাদের সাথে ঘুরতাম (আমার ভাই আমাকে নিয়ে নিয়ে ঘুরতেন তাই আমিও তাদের সাথে থাকতাম)। আমার ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার অনুপ্রেরনার পিছনে এইসব শক্তিশালি ব্যক্তিরাও অনেক অনুপ্রেরনা জুগিয়েছিলেন।

গত ২৯/৯/২০২৫ তারিখে দাদার বাসায় দূর্গা পুজা উপলক্ষ্যে দাদার সাথে কিছুক্ষন সময় কাটানর কিছু মুহুর্ত।

ধন্যবাদ দাদা।