০১/১১/১৯৮৬-প্রভু

১৪ কার্তিক, ১৩৯৩

 

প্রভু, তুমি আপনাতে আপনি এত বিভোর হয়ে সারাশব্দহীনভাবে কেন বসে আছ? আমি তো আমার সব নিয়ে বসে আছি প্রভু ! আমি আমার সব বেদনা, সব হাসি, সব কান্না আর ভালবাসা নিয়ে তোমার জন্য বসে আছি। আমি তো আমার সব গোপন কথাগুলো সব উজার করে তোমাকে বলেছি, তুমি কি আমার কোন আরাধনাই শুননি? আমি তোমার  বিশ্বকে ভয় পাই, তুমি এই বিশ্ব ভর্তি করে রেখেছ লাল রক্ত, নীল রক্ত, কাল রক্ত, আরও কত পদের রক্তে ! আমি ঐ সব কিছুই চিন্তে পারিনা প্রভু। শুনেছি, বাঘের শত্র  মানুষ, কিন্ত মানুষের শত্রু বাঘ নয়, মানুষের শত্রু মানুষ। কারা এই মানুষ প্রভু? আমি কিভাবে চিনবো কে মানুষ আর কে মানুষ না? তুমিও কি চিনো না? এখানে নেকড়ে বাঘ আছে, কিন্ত তারা মানুষকে ভয় পায়, এখানে হায়ানারা আছে, কিন্ত তারা মানুষকে ভয় পায়, ওরা কোন মানুষ প্রভু ? আমি কি মানুষ না? ওরা কি আমাকেও ভয় পায়? মাঝে মাঝে আমি আমাকেও চিন্তে পারি না। আমি কি বেচে আছি? সুবোধ বালকের মত হেটে বেড়ানো, খাবারের সময় খাবার খাওয়া, ঘুমানোর সময় ঘুমানো, এটাই কি জীবন্ত মানুষের লক্ষন? আর কি কিছুই নেই? সেটা দাও আমাকে।

আমি বাচতে চাই, আমি কাদতে চাই, আমি হাসতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *